□ সকল কিছুর স্রষ্টা কে?

》 আল্লাহ। “আল্লাহ সকল কিছুর স্রষ্টা।”
(আন’আম: ১০২, রা’দ: ১৬, যুমার: ৬২, গাফির:৬২)

□ স্রষ্টা কয়জন?
》 স্রষ্টা একজন। “আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য (স্রষ্টা) আাছে কি?”
(নমল: ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪, আম্বিয়া: ২২)

□ সৃষ্টির কাজে আল্লাহ কারো সহযোগিতা নিয়েছেন?
》 না, সৃষ্টির কাজে তিনি কি কারো সহযোগিতা নিয়েছেন?
(নমল: ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪, আম্বিয়া: ২২)

□ মানুষ ও জ্বিন জাতিকে তিনি কেন সৃষ্টি করেছেন।
》 তাঁর ইবাদাতের জন্যে। “ আমি জিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি আকমাত্র আমারই ইবাদাতের জন্যে।”
(যারিয়াত: ৫৬, বাইয়্যেনাহ: ৫)

□ আল্লাহ সত্ত্বাগতভাবে কোথায়?
》 আল্লাহ আরশে আজীমের উপর।
“রহমান আরশের উপরে সমাসীন।”
(ত্বহা: ৫, ইউনুছ: ৩, রা’দ: ২, সাজদাহ: ৪, হাদিদ: ৪)

□ আল্লাহ কি সর্বত্র বিরাজমান?
》 না, আল্লাহ কি সর্বত্র বিরাজমান না।
(ত্বহা: ৫, ইউনুছ: ৩, রা’দ: ২, সাজদাহ: ৪, হাদিদ: ৪)

□ সর্বত্র কি আল্লাহ বিরাজমান?
》 না; আল্লাহর জ্ঞান, শ্রবণ, দৃষ্টি, ইচ্ছা ইত্যাদি সর্বত্র বিরাজমান। “তোমরা যেখানেই থাক তিনি তোমাদের সাথে রয়েছেন। আর আল্লাহ তোমরা যা কর সবকিছুই তিনি দেখেন।”
(হাদিদ: ৪, আনয়াম: ৩, যুখরুফ: ৭৪)

□ আল্লাহ কি নিরাকার?
》 না, আল্লাহ নিরাকার নন। আল্লাহর যেহেতু অস্তিত্ত্ব রয়েছে সেহেতু তিনি কভু নিরাকার হতে পারেন না। কেননা অস্তিত্ত্বহীন জিনিসই কেবল নিরাকার হয়ে থাকে।”
(বাকারাহ: ১১৫, রহমান: ২৭, মায়েদাহ: ৬৪)

□ আল্লাহ কি স্বাকার?
》 হ্যাঁ, আল্লাহ স্বাকার, তবে তাঁর সে আকৃতির ধরণ আমাদের অজানা। তিনি আমাদের যতটুকু জানিয়েছেন ঠিক ততটুকুকেই আমরা কোন প্রকার তুলন কিংবা অপব্যাখ্যা ছাড়াই বিশ্বাস করব। এটাই একজন প্রকৃত মুসলিমের বিশুদ্ধ আক্বীদাহ বা বিশ্বাস। “তার মত কিছুই নয়, তবে তিনি শুনেন এবং দেখেন।”
(শুরা: ১১, মিনহাজুস সুন্নাহ আন নবুবীয়্যাহ: ৫২৩/২)

□ আল্লাহর আকার কি রকম?
》 আল্লাহর জন্যে যেমন শোভা পায়। তবে তিনি যে সকল প্রকার অপূর্ণতা এবং ত্রুটি থেকে মুক্ত ও পবিত্র তাতে কোন সন্দেহ নেই। যুগে যুগে নবী ও রাসূলগণ আমাদেরকে সে শিক্ষাই দিয়েছেন। তাঁর আকার আকৃতি কোন মাখলুকের আকৃতির মত নয় সে কথাও দৃঢ়তার সাথে আমরা বিশ্বাস করি। আবার আকারের স্বীকৃতি দিতে গিয়ে তা কোন মাখলুকের সাথে তুলনা করাও ভ্রান্তি আর বোকামী ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।
(আল জওয়াবুস সহীহ লিমান বাদ্দালা দ্বীনাল মাসীহ-৪০৬/৪, জালাউল আফহাম: ৯৩)

□ আল্লাহর কি চোখ রয়েছে?
》 হ্যাঁ। তবে তা কোন মাখলুকের চোখের মত নয়। “আর আপনি (নুহ) আমার চোখের সামনে একটি নৌকা তৈরী করুন।”
(হুদ: ৩৭, মু’মিনুন: ২৭, তুর: ৪৮)

□ আল্লাহর কি চেহারা আছে?
》 হ্যাঁ, তবে তা মানুষের চেহারার মত নয়। “তুমি যেদিকেই মুখ ফিরাওনা কেন সেদিকেই রয়েছে আল্লাহর চেহারা”
(বাকারাহ: ১১৫, ২৭২, রুম: ৩৮, আর রহমান: ২৭)

□ আল্লাহর কি হাত আছে?
》 হ্যাঁ, তবে তা কোন মাখলুকের মত নয় কিংবা দু’টি হাতের একটি বাম হাত সে কথাও বলা যাবে না। মহান মালিকের যেমন শোভা পায় তেমন দু’টি হাত রয়েছে সে কথাই অকপটে বিশ্বাস করতে হবে। “তাঁর উভয় হাত প্রশস্ত উদার তিনি যে রূপ ইচ্ছে ব্যয় করেন।”
(মায়েদাহ-৬৪)

□ আল্লাহর কি আঙ্গুল আছে?
》 হ্যাঁ, মহান আল্লাহর হাতে আঙ্গুল রয়েছে। তবে তা যে কোন মাখলুকের হাত কিংবা পায়ের আঙ্গুল সাদৃশ নয় সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। “নিশ্চয় বনী আদমের অন্তর সমূহ রহামানের আঙ্গুল সমূহের দু’টি আঙ্গুলের মধ্যে।”
( মুসলিম-২৬৫৪)

□ আল্লাহ কি শুনেন?
》 হ্যাঁ। মহান আল্লাহ যখন যা শুনতে চান তখনই তা শুনতে পান। কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে তিনি শুনেন সে কথা বলা হয়েছে। আবার কখনো বলা হয়েছে তিনি সর্বশ্রোতা। “আল্লাহ আপনাদের উভয়ের কথাবর্তা শুনেন”
(মুজাদালাহ: ১, আল ইমরান- ১৮১, ত্বহা-৪৬)

□ আল্লাহ কি দেখেন?
》 হ্যাঁ, তিনি দেখতে পান। তাই কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে তাঁর দেখার কথা এসেছে। “তিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি সলাতে দন্ডায়মান হন।”
(আশ শুয়ারা-২১৮, তওবা-১০৫, ত্বহা-৪৬, আল-ই ইমরান-৭৭)

□ আল্লাহ কি কথা বলেন?
》 হ্যাঁ, তিনি যখন চান তখনই কথা বলেন। তাঁর কথার চেয়ে সুন্দর ও চুড়ান্ত সত্য কথা আর কারো হয় না। মহাগ্রন্থ আল কুরআন তারই কথা তাই কুরআনকে ‘কালামুল্লাহ’ বলা হয়। কুরআনে অসংখ্যবার বলা হয়েছে তোমাদের রব বলেছেন। “আর আল্লাহ মুসার সাথে কথা বলেছেন।”
(নিসা: ১৬৪, বাকারহ: ২৫৩)

□ আল্লাহকে কি দুনইয়ার চোখ দিয়ে দেখা যায়?
》 না। এটি সম্ভব নয়। তাহলে নবী মুসা আ. দেখতেন। তিনি দেখতে চাইলে আল্লাহ বলে দিলেন,”না মুসা, তুমি আমাকে দেখতে পারবে না।”
(আরাফ: ১৪৩)

আম্মাজান আয়েশা রা. বলেন, “রাসূল সা. আল্লাহকে দেখেছেন যে বলল সে নবী সা.-এর উপর মিথ্যারোপ করল বরং তিনি তাঁর নূর দেখেছেন।”
(মুসলিম: ১৭৮)

□ আল্লাহকে কি কখনো দেখা যাবে?
》 হ্যাঁ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলাকে দেখা যাবে। সূরা ইউনুছের ২৬নং আয়াতে যিয়াদাহ শব্দ দিয়ে আল্লাহর দিদারকেই বুঝানো হয়েছে, মুফাসসিরগণ এমনটিই বলেছেন। “তোমাদের পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে যেমন কষ্ট হয়না তেমনি তোমাদের রবকে দেখেতেও তোমাদের কষ্ট হবে না।”
(বুখারী: ৫৭৩)

□ আল্লাহকে কোথায় দেখা যাবে?
》 জান্নাতে। :সুতরাং যে তার রবের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে এবং তাঁর রবের ইবাদাতে কাউকে শরীক না করে।”
(কাহাফ: ১১০, ইউনুছ: ২৬, বুখারী: ৫৭৩ )

□ আল্লাহকে কারা দেখতে পাবে?
》 জান্নাতীরা। তাঁদের সৎকর্মের পুরস্কার হিসেবে তারা তাদের মহান রবকে জান্নাতে দেখতে পাবে। জান্নাতীদের জন্যে এটিই হবে সব থেকে প্রিয় বিষয় “অতপর তিনি পর্দা উম্মুক্ত করবেন, জান্নাতী মানুষগুলো তাঁর তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে থাকবে।”
(মুসলিম: ১৮১, তিরমিযি: ২৫৫২, ইবনে মাজাহ: ১৮৭)

□ আল্লাহর সাথে কি কোন কিছুর তুলনা হয়?
》 না। “তাঁর মত কিছুই নেই”
(শুরা: ১১)

□ আল্লাহ কি কারো মুখাপেক্ষী?
》 না।
“আল্লাহ অমুখাপেক্ষী”
(ইখলাস: ২)

□ আল্লাহর কি স্ত্রী পুত্র সন্তান আছে?
》 না। “তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কারে থেকে জন্মও নেননি।”
(ইখলাস: ৩ )

□ আল্লাহ কয়জন?
》 একজন। “বলুন তিনি আল্লাহ একক।”
(ইখলাস: ১)

□ আল্লাহ কি ঘুমান?
》 না। এমনকি তন্দ্রা পর্যন্ত তাঁকে স্পর্শ করে না। কারণ এসকল বিষয় কোন কিছুর অপূর্ণতার কারণেই দরকার হয়। আর আল্লাহ সকল প্রকার অপূর্ণতা থেকে মুক্ত। “তাঁকে তন্দ্রা স্পর্শ করে না।”
(বাকারাহ: ২৫৫)

□ চিরস্থায়ী ও চিরঞ্জীব কারগুণ?
》 আল্লাহর।
(বাকারহা: ২৫৫, আল ইমরান: ২, ফুরকান: ৫৮)

□ আল্লাহর কি গুণবাচক কোন নাম রয়েছে?
》 হ্যাঁ। “আর আল্লাহর জন্যে রয়েছে সুন্দর নামসমূহ, তাঁকে সে নাম দিয়েই ডাক।”
(আরাফ: ১৮০)

□ আল্লাহর গুণবাচক নামের সংখ্যা কয়টি?
》 অগণিত তবে, কেবল ৯৯টি নাম আমাদেরকে জানানো হয়েছে।
(বুখারী: ২৭৩৬, মুসলিম: ২৬৭৭, তিরমিযি; ৩৫০৬ )

□ খোদা কি ৯৯টি নামের মধ্যে একটি?
》 না। খোদা বলে আল্লাহর কোন নাম নেই এবং এটি আরবী পরিভাষাও নয়। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে খোদা পারস্যের অগ্নিপূজকদের এক দেবতার নাম ছিল ‘খোদা’।

□ আল্লাহকে ‘খোদা’ নামে ডাকা কি জায়েজ?
》 না। আল্লাহকে ‘খোদা’ নামে ডাকলে আল্লাহর নির্দেশকে অমান্য ও উপেক্ষা করা হয়। “অতএব তাঁকে তাঁর নামসমূহ দিয়েই ডাক।”
(আরাফ: ১৮০ )

□ আল্লাহ আমাদের কি দিয়ে তাঁকে ডাকতে বলেছেন?
》 তাঁর গুণবাচক নাম সমূহ দিয়ে। “আর আল্লাহর জন্যে রয়েছে সুন্দর নাম সমূহ, তাঁকে সে নাম দিয়েই ডাক।”
(আরাফ: ১৮০)

□ তাওহীদ অর্থ কি?
》 আল্লাহর একাত্ববাদ। যে জ্ঞানের মাধ্যমে আল্লাহর উলুহিয়্যাত, রুবুবিয়্যাত এবং আসমা ওয়াস সিফাত সম্পর্কে জানা যায় সেটাই হচ্ছে তাওহীদ।

□ তাওহীদ কত প্রকার ও কি কি?
》 তিন প্রকার:
ক. রুবুবিয়্যাত বা রব হিসেবে তিনি একক
খ. উলুহিয়্যাত বা ইলাহ তথা মাবুদ হিসেবে তিনি একক
গ. আসমা ওয়াস সিফাত বা নাম ও গুণাবলী হিসেবে তিনি একক।

□ আল্লাহর হক্ব কি?
》 বান্দা একমাত্র তাঁরই ইবাদাত করবে এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না।
(বুখারী: ২৮৫৬)

□ আল্লাহর অলী বা বন্ধু কে বা কারা?
》 প্রত্যেক ঈমানদার ই আল্লাহর বন্ধু। “যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ তাদের অভিবাবক বা বন্ধু।”
(বাকারাহ: ২৫৭)

□ আল্লাহর বন্ধুদের মাঝে উত্তম কে?
》 কুরআনের অনুসারী এবং আল্লাহর সবথেকে বেশী অনুগত বান্দাই বন্ধুদের মাঝে উত্তম। (আক্বীদা আততহাওয়ীহ )

□ আল্লাহর শত্রু কে বা কারা?
》 কাফির মুশরিক এবং সত্যকে প্রত্যাক্ষ।ণকারীরা। “নিশ্চয়ই আল্লাহ অবশ্বাসীদের শত্রু।”
(বাকারাহ: ৯৮ )

□ সন্তান দেয়ার মালিক কে?
》 আল্লাহ। “তিনি যা ইচ্ছা তা সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন।”
(শুরা: ৪৯ )

□ ‘উপরে আল্লাহ আর নীচে ইল্লাহ’ এমন বলা কি ঠিক?
》 না। এটি একটি কুফরী বাক্য। জেনে বুঝে এমন বলাতে কাফির হতে হবে। কেননা উপর নীচ সর্বত্রই এক আল্লাহর রাজাত্ব ও ক্ষমতা। “তিনিই আল্লাহ নভোমন্ডলে এবং ভূমন্ডলে। তিনি তোমাদের গোপন ও প্রকাশ্য বিষয় জানেন এবং তোমরা যা কর তাও তিনি অবগত।”
(আন’আম: ৩)

□ আল্লাহ ছাড়া কি কেউ গায়েব জানে?
》 না। “ আসমান যমীনে আল্লাহ ছাড়া কেউ গায়েব জানে না”
(নমল: ৬৫, তাগাবুন: ১৮, মু’মিনুন: ৯২)

□ গায়েবের চাবি কাঠি কার নিকট?
》 আল্লাহর নিকট। “ আর গায়েবের চাবিকাঠি কেবল তাঁরই নিকট”
(আন’আম: ৫৯)

□ ‘যিকরুল্লাহ’ মানে কি?
》 আল্লাহর স্মরণ।
(মায়দাহ: ৯১, রা’য়াদ: ২৮, আহযাব: ২১, যুমার: ২২)

□ আল্লাহ বান্দার কথা কখন স্মরণ করেন?
》 বান্দা যখন আল্লাহর কথা স্মরণ করে ঠিক তখনই আল্লাহ বান্দার কথা স্মরণ করে থাকেন। “অতএব তোমরা আমাকে স্মরণ কর আমি তোমাদের স্মরণ করব”
(বাকারাহ: ১৫২ )

□ সর্বোত্তম যিকির কি?
》 ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। (তিরমিযি: ৩৩৮৩ )

□ ইল্লাল্লাহ, ইল্লাল্লাহ বলে যিকির করা কি ঠিক?
》 না। কারণ তখন এর অর্থ হয় আল্লাহ ছাড়া আল্লাহ ছাড়া। এটি একটি অসম্পূর্ণ কথা যা অনেকটা কুফরী কথাও বটে। তাছাড়া রাসূল সা. কিংবা পূর্ববর্তী নেককারগণ কখনো এ ধরণের বাক্য দিয়ে আল্লাহকে ডাকেননি।

□ আল্লাহ, আল্লাহ জিকির করার হুকুম কি?
》 এককভাবে আল্লাহ আল্লাহ শব্দে জিকির করা নবী সা.-এর সুন্নাহ নয়। একইভাবে এটি সালফে সালেহীনদেরও আমল নয়। বরং এটি সুফীবাদে বিশ্বাসী এক শ্রেণীর বুজুর্গদের উদ্ভাবিত জিকির। যা সুন্নাহর খিলাফ।

□ আল্লাহকে ডাকতে কি কোন মাধ্যম লাগে?
》 না। মানুষ যে কারণে কারো মধ্যস্থতা খুঁজে বেড়ায় রব্বুল আলামীনেরে ক্ষেত্রে এমন কোন কারণ নেই। এছাড়া তিনি আমাদের একমাত্র তাকেই ডাকতে বলেছেন। “আর তোমাদের রব বলেছেন, তোমরা আমাকে ডাক আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব”
(গাফির: ৬০)

□ আল্লাহ ছাড়া কাউকে কি সাজদাহ করা যায়?
》 না। সাজদাহ একটি ইবাদাত। আর ইবাদাত মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্যে করা যায় না। এছাড়া তিনি তাঁকে ছাড়া অন্য কাউকে সাজদাহ করতে বারণও করেছেন। “আর তোমরা না সাজদাহ করবে সূর্যকে না চন্দ্রকে বরং সাজদাহ করবে আল্লাহকে যিনি ঐ সকল বস্তুকে সৃষ্টি করেছেন”
(ফুসসিলাত: ৩৭ )

□ আল্লাহর নিকট তওবা করতে কি কোন মাধ্যম দরকার?
》 না। কোন পীর আউলিয়া ফকীর দরবেশের মধ্যস্থতায় তওবার কোন বিধান ইসলমে নেই। গুনাহ ক্ষমা করার একমাত্র মালিক মহান আল্লাহ। তাই তওবা ও ইস্তেগফার বা ক্ষমা চাইতে হবে কেবল তাঁরই নিকট। (আল-ই ইমরান: ১৩৫)

□ সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ কথাটি কি ঠিক?

》 না, প্রকৃত মুসলিম হিসেবে এ কথা বলা যায় না বরং আল্লাহ তা’আলই সকল ক্ষমাতার উৎস ও মালিক। “যাবতীয় ক্ষমতা কেবল মাত্র আল্লাহরই জন্যে।”
(বাকারাহ: ১৬৫, আল-ই ইমরান:১৮৯)

□ আল্লাহ কি সাধ্যের বাহিরে কাউকে কিছু চাপিয়ে দেন?

》 না, এটি জুলম। কি করে আল্লাহ বান্দার উপর জুলম করতে পারেন? কখনোই না। “আল্লাহ কাউকে সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না।”
(বাকারাহ: ২৮৬, ত্বলাক: ৭)


Leave a Comment